জেলা ও উপজেলায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট, যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকশাচালক আলম মিয়া বলেন, ‘একদিন রিকশা নিয়ে বের না হলে খাবার জোটে না। তাই রিকশা নিয়ে সকাল থেকে শহরে ঘুরছি। রাস্তায় লোকজন নাই তাই ভাড়াও নাই। আয় রোজগার করতে না পারলে খাবার জুটবে না।’
আরেক অটোরিকশাচালক শফিকুল বলেন, আমরা গরীব মানুষ প্রতিদিন অটো চালিয়ে চাল-ডাল কিনে খাই। গাড়ি চালানো নিষেধ থাকলেও উপায় নেই। অটো নিয়ে এসেছি কিন্তু কোনো পেসেঞ্জার নেই। সব ফাঁকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।
এদিকে করোনা সতর্কতায় যানবাহনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ড্রাইভারসহ বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের সহায়তার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এই টাকা দিয়ে প্রতি উপজেলায় দুই শতাধিক কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে প্রতি জনকে ১০ কেজি করে চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই কেজি ডাল, লবণ ও সাবান কিনে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে বরাদ্দের টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসক। শনিবারের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বরাদ্দের টাকা জেলার ৯ উপজেলায় নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। যারা রিকশা চালক, অটোরিকশা বা ভ্যান চালক, ড্রাইভার এসব শ্রমজীবীদের কথা বলা হয়েছে।
‘আমাদের কাছে ত্রাণের যে চাল মজুদ আছে সেখান থেকে ১০ কেজি করে চাল এবং বরাদ্দ পাওয়া টাকায় আলু, ডাল, লবণ ও সাবান কিনতে বলা হয়েছে। শনিবারের মধ্যে তালিকা করে এসব পণ্য প্যাকেট করে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।